ম্যাজিক কনডম প্রাইস ইন বাংলাদেশ

  

ম্যাজিক কনডম প্রাইস ইন বাংলাদেশ :ম্যাজিক কনডম (Magic Condom) বলতে সাধারণত পুনরায় ব্যবহারযোগ্য (Reusable) সিলিকন স্লিভ (Silicone Sleeve) বা বর্ধক (Extender)-কে বোঝানো হয়। এটি সাধারণ এক-বার ব্যবহারযোগ্য (Disposable) ল্যাটেক্স কনডমের মতো নয়।

বাংলাদেশে বিভিন্ন অনলাইন শপ বা অ্যাডাল্ট প্রোডাক্টের দোকানে এর দাম এবং প্রকারভেদ দেখা যায়।

ম্যাজিক কনডমের বিস্তারিত তথ্য

বৈশিষ্ট্যবিবরণ
উপাদানউচ্চ-মানের সিলিকন (Silicone)।
ব্যবহারযোগ্যতাএটি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য (Reusable)। বিক্রেতাদের দাবি অনুযায়ী, এটিকে ৫০০ থেকে ১০০০ বারেরও বেশি ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতিবার ব্যবহারের পর পরিষ্কার করে রাখতে হয়।
উদ্দেশ্যএটি মূলত একটি যৌন বর্ধক (Sexual Enhancer) হিসেবে কাজ করে। এর প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো:
১. স্থায়িত্ব বৃদ্ধি (Climax Delay): এটি পুরুষাঙ্গে অতিরিক্ত পুরুত্ব যোগ করে সংবেদনশীলতা কমিয়ে মিলনের সময় ২০-৩০ মিনিট বা তার বেশি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।
২. আকার বৃদ্ধি (Size Enhancement): এটি পরিধানের ফলে পুরুষাঙ্গের আকার তাৎক্ষণিকভাবে ১ থেকে ১.৫ ইঞ্চি পর্যন্ত মোটা ও লম্বা দেখায়।
৩. অতিরিক্ত উদ্দীপনা (Extra Stimulation): অধিকাংশ ম্যাজিক কনডমের গায়ে বড় বড় ডট (Dotted) বা স্পাইক (Spike) থাকে, যা সঙ্গীকে অতিরিক্ত সুখ ও উত্তেজনা দিতে সাহায্য করে।
অন্যান্য বৈশিষ্ট্যএটি ফেটে যাওয়ার বা ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। পরিধান করা তুলনামূলকভাবে সহজ।



বাংলাদেশে ম্যাজিক কনডমের দাম

বিভিন্ন মডেল, গুণমান এবং বিক্রেতার উপর নির্ভর করে এর দামে তারতম্য দেখা যায়। কিছু জনপ্রিয় মডেল এবং তাদের আনুমানিক দাম নিচে দেওয়া হলো:

মডেলের নাম (উদাহরণ)আনুমানিক দাম (৳ - টাকা)
সিলিকন ম্যাজিক কনডম (সাধারণ)৳ ৬৫০ থেকে ৳ ১,২০০
ড্রাগন ম্যাজিক কনডম / রিউজেবল ক্রিস্টাল কনডম৳ ৭৫০ থেকে ৳ ১,৫০০
ডটেড/স্পাইকড রিউজেবল কনডম৳ ১,০০০ থেকে ৳ ২,০০০
রিয়াল স্কিন ভাইব্রেশন কনডম (কম্পন সহ)৳ ২,৩০০ থেকে ৳ ৪,৫০০ (এটি তুলনামূলকভাবে দামি মডেল)

সাধারণত, ম্যাজিক কনডমগুলোর দাম ৳ ৭০০ থেকে ৳ ১৫০০ টাকার মধ্যে বেশি দেখা যায়, তবে উন্নত মানের বা ভাইব্রেশনযুক্ত মডেলগুলোর দাম আরও বেশি হতে পারে।



গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা

গর্ভধারণ এবং যৌন রোগ প্রতিরোধ: 

যেহেতু এটি সিলিকনের তৈরি এবং ল্যাটেক্সের মতো নয়, এটি সাধারণ কনডমের মতো গর্ভধারণ বা যৌনবাহিত রোগ (STI/STD) থেকে সুরক্ষা দেয় না। যদি গর্ভধারণ বা রোগ প্রতিরোধের প্রয়োজন হয়, তবে এর নিচে ল্যাটেক্স কনডম ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে এক্ষেত্রে কার্যকারিতা কিছুটা কমতে পারে।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: 

এটি যেহেতু বারবার ব্যবহার করা হয়, তাই প্রতিবার ব্যবহারের পর ভালোভাবে সাবান ও জল দিয়ে পরিষ্কার করে এবং শুকিয়ে রাখা অত্যন্ত জরুরি, অন্যথায় স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকতে পারে।

লুব্রিকেন্ট ব্যবহার: 

সিলিকন কনডমের সাথে জল-ভিত্তিক লুব্রিকেন্ট (Water-Based Lubricant) ব্যবহার করা যেতে পারে। তেল-ভিত্তিক (Oil-Based) লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করলে সিলিকন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
বিক্রেতা নির্বাচন: এই পণ্যগুলো কেনার সময় নির্ভরযোগ্য বিক্রেতা বা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বেছে নেওয়া উচিত।

বিক্রেতা নির্বাচন: এই পণ্যগুলো কেনার সময় নির্ভরযোগ্য বিক্রেতা বা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বেছে নেওয়া উচিত।


Post a Comment

Previous Post Next Post